ঢাকা: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহসানের বাসাতে বসেই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারীতে হামলার পরিকল্পনা হয়। এমনকি ওই বাসাতেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিল জঙ্গিরা।
এ অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা এলাকার একটি বাসা থেকে শনিবার বিকালে ড. গিয়াস উদ্দিন আহসান, তার ভাগ্নে আলম চৌধুরী এবং ওই বাড়ির কেয়ারটেকার মাহবুবুর রহমান তুহিনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এসময় ওই বাসা থেকে বালি ভর্তি কার্টুন (যাতে গ্রেনেড রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়) ও তাদের পরিধেয় বস্ত্রসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়েছে। ডিএমপি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চি করা হয়েছে।
সুত্র বলছে, গিয়াস উদ্দিন আহসান লালমাটিয়ার বাসায় থাকতেন। বাসা ভাড়া বাবদ জঙ্গিদের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে ৪০ হাজার টাকাও নেওয়া হয়। প্রতিমাসের ভাড়া ছিল ২২ হাজার টাকা। সেখানে জঙ্গিদের ১০জন সদস্য থাকতো। যাদের মধ্য থেকে পাঁচজন কমান্ডো অভিযানে নিহত হয়। ওই বাসা থেকেই জঙ্গিরা হামলার পরিকল্পনা করে। ওই বাড়ি থেকে প্রস্তুতি নিয়ে হামলার জন্য ঘটনাস্থল হলি আর্টিজান বেকারীতে গিয়েছিল জঙ্গিরা।
ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, জিইউ আহসান তার বাড়ির ভাড়াটিয়াদের কোনো তথ্য সংশ্লিষ্ট থানায় সরবারহ করেনি। ওই বাসায়ই জঙ্গিরা একত্রিত হয়েছিল। গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর সহযোগিরা দ্রুত বাসা থেকে পালিয়ে যায়। জঙ্গি হামলার মদদদাতা হিসেবে জিইউ আহসানসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করবে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গত ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারীতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জন নিহত হয়। এছাড়া হামলায় নিহত হন দুই পুলিশ সদস্যও। আহত হন ৩০ পুলিশ সদস্য।
পাঠকের মতামত